-->

হিজরত : সর্বকালের শ্রেষ্ঠতম প্রেম-উপাখ্যান

(প্রেমের জন্য মানুষ অনেক কুরবানি করে। তবে প্রেম বলতে আমাদের স্থূল দৃষ্টিতে যা ভেসে ওঠে, দৃষ্টিটাকে সম্প্রসারিত করে সেই সর্গে আমরা মা-বাবা-সন্তান, বন্ধু-বান্ধব, গুরু-শিষ্য ইত্যাদি বহুবিধ ভালোবাসাকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। সাহাবীদের নবীপ্রেম ছিল তেমনি একটি বিষয়। তবে ওটা ছিল নজিরবিহীন !  আর ঐ বে-নজীর নবীপ্রেমের কারণে এই আসমান-যমীন সাক্ষী হয়ে আছে অনেক অচিন্তনীয় ঘটনার। ঐ সকল ঘটনাগুলোর মধ্যে যেটি শ্রেষ্ঠতম, সেটির কথা শুনাচ্ছি)




৬২২ খ্রিস্টাব্দ

মক্কা নগরী 

দিন যায়, রাত আসে দিনান্তের কর্মশেষে একে একে প্রায় সকলে ঘুমিয়ে পরে কিন্তু সুপ্তিমগ্ন বসুন্ধরার বুকে শত ক্লান্তি সত্ত্বেও সারাটি রাত সদা-সতর্ক জেগে থাকেন একজন শুধু জেগে নয় ! দুয়ারে পিঠ ঠেকিয়ে, কান খাড়া করে অপেক্ষা করেন !! গত কয়েকমাস ধরে প্রতিটি নিশি তিনি এভাবেই পার করছেন !!!    

কে তিনি ? 

ভবিষ্যৎ সম্পর্কীয় একটি মু’জিযা


এই কথাগুলো লিখছি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ / ১৪২৬ বাংলা/ ১৪৪০ হিজরি সালের কোন এক সকালে এই মুহূর্তে কি কেউ বলতে পারবে ২০২৯ খ্রিষ্টাব্দ / ১৪৩৬ বাংলা/ ১৪৫০ হিজরি সালের বিশ্ব পরিস্থিতি কেমন থাকবে ? এক কথায় এর উত্তর না এবং এই না এর ব্যাপারে আস্তিক-নাস্তিক, জ্ঞানী-মূর্খ অর্থাৎ গোটা বিশ্বের সবাই একমত কেনএই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশ্বজাহানের একমাত্র রব মহান আল্লাহ্পাক, নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ -- তাঁর কাছেই রয়েছে ঘড়িঘন্টার জ্ঞান, আর তিনি বর্ষণ করেন বৃষ্টি, আর তিনি জানেন কি আছে জরায়ুর ভেতরে আর কোনো সত্ত্বা জানে না কী সে অর্জন করবে আগামীকাল আর কোনো সত্ত্বা জানে না কোন দেশে সে মারা যাবে নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাতা, পূর্ণ-ওয়াকিফহাল” [সুরাহ লুকমান ; আয়াত নং ৩৩]



সর্বজ্ঞানী সেই মহান আল্লাহ্পাক মানবজাতির উপকারের জন্য ভবিষ্যতের কিছু কথা তার প্রিয় নবী-রাসুলদের মাধ্যমে আমাদিগকে জানিয়ে দিয়েছেন অতএব, ঐ কথাগুলো সম্পূর্ণ নির্ভুল সুতরাং মৃতকে জীবিত করা যেমন নবীর মুযিযা, ঠিক তেমনি নবীর এই ভবিষ্যৎ বানীগুলোও মুজিযা এই অগণিত মুজিযার ভাণ্ডার থেকে একটি এখানে উল্লেখ করছি                                                                         

আল-কুরআনের অবিকৃতিঃ একটি মহাবিস্ময়

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জমানাতে সম্পূর্ণ কুরআনের হাফেয ছিল অনেক ; কিন্তু সমগ্র কুরআন একত্রে লিপিবদ্ধ ছিল না ( কারো কারো নিকটে কিছু কিছু অংশ অবশ্য লিখিত আকারে ছিল) হযরত আবুবকর সিদ্দীক রাঃ-এর যুগে ইয়ামামার জিহাদের পরে গোটা কুরআন শরীফকে একখণ্ডে (one volume) একত্রায়িত করা হয় (১৩-১৪ হিঃ, 633-634 খৃঃ) এটিই প্রথম লিখিত সুবিন্যস্ত কোরআন এর বৈশিষ্ট্য হলো –– এটিকে রাসুল (সা.) বর্ণিত ধারাক্রম অনুসারে লেখা হয়েছে এবং এখানে কেবল সেসব আয়াত লেখা হয়েছে, যেগুলোর তিলাওয়াত রহিত হয়নি এই সংকলনের উদ্দেশ্য ছিল একটি সুবিন্যস্তগ্রন্থিত কোরআনের কপি মওজুদ রাখা, যাতে প্রয়োজনের সময় উহার দ্বারস্থ হওয়া যায় এই কপিটি আমৃত্যু হযরত আবু বকর (রাঃ) এর কাছে ছিল এরপর উহা হযরত উমর (রা.)-এর কাছে ছিল তাঁর অসিয়ত মোতাবেক তার শাহাদাতের পর উম্মুল মুমিনীন হযরত হাফসা (রা.)-এর কাছে  বর্ণিত কপিটি সংরক্ষিত  ছিল।

      
হযরত ওসমান (রাঃ) এর আমলে দেখা গেল দুরবর্তী এলাকার অনেকেই রাসুল (সাঃ) যেরকম উচ্চারণ (pronunciation -এর কথা বলা হচ্ছে, accent-এর নয়)  শিখিয়েছিলেন সেরকম উচ্চারণ করতে পারছে না তাতে অনেক স্থানেই অর্থের বিকৃতি হয়ে যাচ্ছিল উচ্চারণে একরূপতা (uniformity) আনার জন্য হযরত হাফসা (রাঃ)-এর নিকট সংরক্ষিত সংকলনটি হতে হযরত উসমান রাঃ উক্ত খন্ডের ৭টি অনুলিপি প্রস্তুত করে ( হিঃ ২৫-৩০, ৬৪৬-৬৫১ খৃষ্টাব্দপবিত্র মদিনা নগরীতে এক কপি রেখে অন্য ৬টি কপিকে তৎকালীন ইসলামী জাহানের প্রধান স্থান সমূহ যথাঃ মক্কা, কুফা, বসরা, দামেস্ক, ইয়েমেন এবং বাহরাইনে পাঠিয়ে দিলেন 

প্রজ্ঞাময় একটি তাৎক্ষণিক বিচার

[৪০ হিজরি, ২১শে রমযান । ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম শোকাবহ দিন। এদিনে খুলাফায়ে রাশেদার ৪র্থ স্তম্ভ আমিরুল মুমিনীন হযরত আলি(রাঃ) ইন্তেকাল করেন। মহান সেই খলীফার জীবনের একটি ছোট্ট ঘটনা  নিয়ে এই লেখা।] 


জন লোক ( কিতাবে তাদের নাম নেই। কিন্তু বুঝার সুবিধার্থে, ধরা যাক, তাদের নাম হাবিল, কাবিল এবং শামিল ) একটি সমস্যা নিয়ে  হযরত আলি(রাঃ)- নিকট হাযির হল তাদের সমস্যাটি রূপঃ তারা একত্রে ব্যবসা শুরু করেছিল শুরুতে তাদের মধ্যে এমন একটি চুক্তি ছিল যে,  লাভ/ক্ষতির  / অংশ সর্বপ্রথমে পাবে/বহন করবে হাবিল ; বাকি অর্ধাংশের / অংশের অধিকারী প্রথমে হবে শামিল এবং সবশেষটুকুর মালিক হবে কাবিল এক্ষণে ব্যবসায় তাদের ১৭টি উট লাভ হয়েছে চুক্তি মোতাবেক কাজ করলে কিছু উটকে নহর(অর্থাৎ জবাহ) করতে হয়।  কিন্তু তারা কেহই উটগুলোকে নহর করতে আগ্রহী নয় সুতরাং উটগুলোকে নহর না করেই  তাদের মধ্যে এমনভাবে বণ্টন করে দেয়া হোক যেটা চুক্তির শর্তের নিকটতম হয়।                                                                                                       
প্রিয় পাঠক! হযরত আলি(রাঃ) কিভাবে বিচার করলেন উহা জানার আগে আমরা সমস্যাটি গভীরভাবে অনুধাবনে সচেষ্ট হই। 

নারীদের উত্তরাধিকার অর্জন

(এই লেখাটি কতটুকু মান সম্পন্ন তা নিয়ে তর্ক হতে পারে, কিন্তু বর্ণিত বিষয়টির গুরুত্ব তর্কাতীত। অথচ তিক্ত অভিজ্ঞতা হল, অনেক স্থানেই লেখাটি পাঠিয়েছিলাম, কেউ ছাপে নি, এমনকি নারী অধিকারের ধ্বজাধারীরাও না। বুঝতে বাকি রইল না যে, সবখানেই ' ডাল মে কুঁচ কালা হ্যাঁয় ।' যাহোক বাংলাটপনিউজ২৪ডটকম ছেপেছে, এ জন্য তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ। প্রিয় পাঠক ! এই লেখাটির গুরুত্ব আপনি উপলব্ধি করবেন, যদি লেখাটি পড়ার আগে কিম্বা পরে আপনার আম্মাকে জিজ্ঞাসা করেন, " আম্মা! নানা - নানী থেকে ওয়ারিশান সূত্রে প্রাপ্য আপনার হিস্যাটুকু পুরোপুরি পেয়েছেন কি ? "  উত্তর যদি হ্যাঁ হয়ে থাকে, তবে আপনার আম্মা নিঃসন্দেহে ভাগ্যবতী। আর যদি না উত্তর পেয়ে থাকেন, তবে মা-এর প্রাপ্য আদায়ের জন্য আপনি কী করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু আপনি যাতে হিম্মৎ করেন, আমি ঐ চেষ্টাটুকুই করছি। )  


মহান আল্লাহ্‌ পাক সৃষ্টি করেছেন নারী এবং পুরুষ, উভয়কে। তবে তিনি তার অসীম জ্ঞান মোতাবেক উভয়ের গড়নে ও স্বভাবে পার্থক্য রেখেছেন। এটা নিয়ে কেহ কোনদিন দ্বিরুক্তি করে নি। সেই মহান আল্লাহ্‌-ই তাঁর অসীম এবং সর্বপ্রকারের দোষত্রুটি মুক্ত জ্ঞান অনুসারে নারী ও পুরুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব, কর্তব্য এবং অধিকার নির্ধারণ করেছেন এবং মানবজাতির প্রতি একান্ত করুণা করে ঐগুলোকে ওহীর মাধ্যমে জানিয়েও দিয়েছেন। মানবজাতির কর্তব্য এই বিধানগুলোকে বাস্তবায়িত করা। এতে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হয়।

সাধারণ কিছু গাণিতিক ভুল-৪


সরলরেখার শ্রেণীভেদঃ                                                                               

মনে কর, তুমি সমতলে( অর্থাৎ xy-স্থানাংকে)  তোমার মর্জিমত একটি সরলরেখা অংকন করলে  এখন যদি গভীরভাবে লক্ষ্য কর তবে উপলব্ধি করবে যে, তোমার অঙ্কিত রেখাটি নিম্নে উল্লেখিত যে কোন একটি শ্রেণীতে পড়তে বাধ্য



সমীকরণের সাথে সম্পর্কঃ                                                                     

স্থানাংক জ্যামিতিতে প্রতিটি শ্রেণীর জন্য একটি নির্ধারিত সমীকরণ আছে  ইহার ফলে                   
*    একটি সরলরেখা দেখলেই আমরা বুঝি যে উহার সমীকরণটি কোন ধরণের হবে ;    
*    একটি সমীকরণ দেখলেই আমরা বুঝতে পারি যে উহাকে অংকন করলে কীরূপ হবে।  

আল-কুরআনের সাথে তামাশা !

হঠাৎ করে একটি সূত্রের আবিষ্কার নিয়ে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে। সূত্রটি হল আল-কুরআনের সূরার সংখ্যা অর্থাৎ ১১৪ সংখ্যাটি ব্যবহার করে যে কোন লোকের বয়স নির্ণয় করা সংক্রান্ত। সূত্রটির বর্ণনাঃ জন্মসালের শেষের দুই সংখ্যা নিতে হবে। এবার সূরার সংখ্যা অর্থাৎ ১১৪ হতে উক্ত দুই সংখ্যা বিয়োগ করতে হবে। প্রাপ্ত বিয়োগফলের সাথে দুই যোগ করতে হবে। তাহলেই বয়সের সংখ্যাটি বের হয়ে আসবে। (বয়সটি পাওয়া যাবে ২০১৬ সালের হিসাবে)। উদাহরণঃ কারো জন্ম ১৯৮৭ সালে হলে বর্ণিত সুত্রমতে তার বয়স = (১১৪ ৮৭) + ২ = ২৯ বৎসর। আসলেও ২০১৬ সালে তার বয়স ২৯ বৎসর হয়েছিল।


এই সূত্রটিকে কেহ কেহ আল-কুরআনের একটি সাংখ্যিক অলৌকিকত্ব (মুযিযা) হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন  দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে লিখতে বাধ্য হচ্ছি যে, এই অদ্ভুত সূত্রটির মাধ্যমে আল-কুরআনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। যেমন, কারো জন্ম ২০১০ সালে হলে তার বয়স ২০১৬ সালে হয় ৬ বৎসর। অথচ ঐ 

সাধারণ কিছু গাণিতিক ভুল-৩


এক চলকের(variable) বা অজ্ঞাত রাশির(unknown) বহুপদীর(polynomial) সমীকরণ  নিয়ে এবারে কিছু আলোচনা করছিএই জাতিয় সমীকরণগুলো 

ধরণের হয়ে থাকে। সমীকরণ সমাধানের একাধিক পদ্ধতি আছে উহাদের মধ্যে বীজগাণিতিক সূত্র পদ্ধতিটি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। বীজগাণিতিক সূত্র বলতে এমন

একটি পদ্ধতি বুঝায় যেখানে 

এই ৬ টির  বাইরে অন্য কোন গাণিতিক প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয় না                                            
বিঃ দ্রঃ এই অধ্যায়ের সম্পূর্ণ আলোচনায় আমরা ধরে নেব যে,  ইত্যাদির প্রত্যেকটি একটি বাস্তব সংখ্যা। ( অন্যথায় ভিন্ন ফল পাওয়া যেতের পারে )।  

সাধারণ কিছু গাণিতিক ভুল-২

এখানে সংখ্যা মালা (number system) নিয়ে একটু আলোচনা। তবে শুরুতে কিছু ইংরেজি প্রতিশব্দ জেনে নাও।



বাস্তব সংখ্যা (Real Number): গণিতে অপারদর্শী ছাত্রছাত্রীদের নিকট বাস্তব সংখ্যার ধারণাটা বেশ জটিল। এখানে দু’ভাবে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে। (১) যদি তোমার গণিত-জ্ঞান কেবল ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত হয়ে থাকে, তবে তোমার পরিচিত  (ধনাত্মক, ঋণাত্মক, শূন্য, গোটা কিংবা ভগ্নাংশ)  ইত্যাদি সকল সংখ্যাই বাস্তব সংখ্যা।  (২) যদি জটিল  সংখ্যা সম্বন্ধে তোমার ধারণা থাকে (অর্থাৎ তুমি একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী হয়ে থাক), তবে এটুকু মনে রাখলেই চলবে যে i – মুক্ত সংখ্যাকে বাস্তব সংখ্যা বলে।    

সাধারণ কিছু গাণিতিক ভুল-১

[ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই ১ম ক্লাসেই যে সকল ছাত্র-ছাত্রীকে পাই, তারা ইতিপূর্বে ১২ টি বৎসর ধরে স্কুলে এবং কলেজে গণিত পড়ে এসেছে। তারপরেও ওদের মধ্যে এমন কিছু গলৎ ধারণা থাকে,  যে গুলোকে শোধরাতে আমাকে বেশ বেগ পেতে হয়। এমন কিছু জরুরী বিষয় নিয়েই বক্ষ্যমাণ নিবন্ধটি।]      

ক্ষুদ্র-র গাণিতিক ধারণা: দৈনন্দিন জীবনে কিন্তু গণিতের ছাত্র মাত্রই জানে যে -1<0 এবং  -4<-3<-2<-1  . এখন যদি তাকে প্রশ্ন করা হয় সবচে ক্ষুদ্র সংখ্যাটি কি ? সে উত্তর করবে বলা সম্ভব নয়, কারণ যেই ক্ষুদ্র সংখ্যাটি উল্লেখ করবে, অন্য এক জন ঐটির চেয়েও ক্ষুদ্রতর একটি সংখ্যা উল্লেখ করতে সমর্থ হবে।   




অসীম: গণিতশাস্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারণা হল অসীম। প্রকৃতপক্ষে গণিত অধ্যায়ন ব্যতীত অসীমের সঠিক উপলব্ধি বেশ দুরূহ ব্যাপার। প্রথমেই বুঝা উচিৎ যে ‘অসীম’ বলতে কেবল একটি মান/পরিমাণকে বুঝায়, একাধিককে নয়। কিন্তু সেই মানটি এত বেশী বড় যে, কোন গাণিতিক সূত্রের  সাহায্যে উহাকে নির্ণয় করা যায় না। যেমন   tan 0o = 0, tan 30o = √3,  tan 45o = 1,  tan 150o = -√3  হয়  অর্থাৎ যে কোন কোণের  tangent নিলে একটিমাত্র মান পাওয়া যায়।