[লেখকের কথাঃ গল্প-কবিতা-উপন্যাস তথা
সাহিত্যে এমন কিছু চরিত্র আছে, যেগুলো
মোটেও ঐতিহাসিক নয়; কিন্তু অনেক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের চেয়েও ঢের মশহুর।
উদাহরণস্বরূপ কার্টুন জগতের টোকাই, চাচা
চৌধুরী; রহস্য সাহিত্যে মাসুদ রানা, কিরীটী রায়, টারজান; ছোটগল্পে ফটিক, জোহরা;
উপন্যাসে হিমু, মিসির আলী, মজিদ, কাদম্বিনী
ইত্যাদি এবং আরও অনেক অনেক চরিত্রের নাম করা যায়। তেমনি আর একটি চরিত্রের
নাম ‘হবুরাজা’। অথচ এই অতি বিখ্যাত
চরিত্রটি নিয়ে বাংলা সাহিত্যে মাত্র দুটো কবিতা পাওয়া যায়ঃ ‘জুতা আবিষ্কার’ (রচনায়ঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ) এবং ‘হবুচন্দ্ররাজা’ ( রচনায়ঃ সুনির্মল বসু )। অতএব, হবুরাজাকে নিয়ে কিছু একটা রচনা করার শখ জাগল। ‘ আহা, কী আনন্দ !’ গল্পটি সেই শখের বহিঃপ্রকাশ। সার্থকতার বা
ব্যর্থতার বিচারের ভার পাঠকের। তবে একটা কথা বলে রাখি, এটা শুধু গল্প। পাঠককে
আনন্দ দেবার জন্য একটি নগণ্য প্রয়াস। এর সাথে রাজনীতির দূরতম সম্পর্কও নেই। সুতরাং,
যদি কোথাও কোন মিল পরিলক্ষিত হয়, সেটা স্রেফ কাকতালীয়। উহাকে ক্ষমাসুন্দর ও
সাহিত্যসুলভ দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ রইল। ]
(১ম পর্বঃ ২২ মার্চ ২০১৪ )
নাগরপুর রাজ্যের মহা প্রতাপান্বিত রাজা
হবুচন্দ্র। অফিসিয়ালী তার নামটা এভাবে লেখা হয় নাগরপুর রাজ্যের
জল-স্থল --অন্তরীক্ষের মহান রাজাধিরাজ
ফিল্ড মার্শাল হবুচন্দ্র
দ্য গ্রেট । তার দাপটে বাঘে
আর ছাগলে এক ঘাটে জল খায় না বটে, কিন্তু পুলিশ আর ফেরারী আসামী
গলাগলি করে হাটে।