-->

তবে একলা চলো রে


ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ব্যক্তিগত রুমে নির্দিষ্ট চেয়ারে শরীরটা ছেড়ে দিয়ে বসে আছি। তসলীম আরেফীন, ভার্সিটির দেয়াল পত্রিকার সম্পাদক, ক’দিন ধরেই তাড়া দিচ্ছে একটা লেখা দেবার জন্যে। দেখেছে যে, আমার এক-আধটু লেখালেখির অভ্যাস আছে। তাকে খুশি করার জন্য ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছি। কিন্তু ‘লিখবটা’  কী?  না আমি পেশাদার লেখক, না আমার আছে নজরুলের মতো প্রতিভা যে কলম ধরলেই হড় হড় করে লেখার ফোয়ারা ছুটবে! ভাবছি আর ভাবছি। ভাবতে ভাবতে ভীষণ ক্লান্ত বোধ করছি। কখন যে চোখ দুটো বুজে এল টের পেলাম না।



: আসসালামু আলাইকুম।
বয়স্ক গলায় সালামের শব্দে চমকে উঠলাম। বেশ বয়স্ক দু’জন ভদ্রলোক প্রায় একসাথে রুমে ঢুকলেন। পরনে পায়জামা-পাঞ্জাবী। বয়সে আমাদের সাবেক উপাচার্য মহোদয়ের সমবয়সী হবেন। সম্মান প্রদর্শনের জন্য দাঁড়িয়ে দুটো চেয়ার এগিয়ে দিলাম।