-->

আল-কোরআনে বিজ্ঞান অন্বেষণ

(১) 
     
     গোটা বিশ্ব জাহানের একমাত্র লা-শরীক মহান প্রভু আল্লাহ্‌ পাকের তরফ থেকে তাঁর শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি মানুষের প্রতি প্রদত্ত শ্রেষ্ঠতম দান নিঃসন্দেহে ‘আল-কুরআনুল কারীম’। মহান ও অতুলনীয় এই গ্রন্থের সংস্পর্শে যারা না এসেছে তারা অন্তহীন দুর্ভাগ্যের অধিকারী। মহাপবিত্র এই গ্রন্থের অগণিত বৈশিষ্টের মধ্যে একটি এই যে, “ ইহা সব ধরণের জ্ঞানের আঁধার।” কিন্তু এই জ্ঞান আহরণ করা কি এতই সহজ ?



     বর্তমান যুগকে বলা হয় বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগ। তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক, উভয় ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের নিত্য নতুন আবিষ্কারের প্লাবনে জগত ভেসে যাচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমানে পবিত্র কুরআন শরীফের চর্চাও লক্ষণীয় হারে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে আধুনিক শিক্ষিতদের মধ্যে এই বিষয়টি খুব বেশী পরিমাণে দৃষ্টিগোচর হয়। কিন্তু ইহাদের অনেকের মধ্যে একটি অদ্ভুত প্রবণতা বেশ ভালভাবেই চোখে পড়ে। তারা এ কথা প্রমাণ করার জন্য বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠে যে, বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার সমূহ যথাঃ বিদ্যুৎ, চুম্বক, আলো, মহাকর্ষ তত্ত্ব, আপেক্ষিক তত্ত্ব, বিগ-ব্যাংগ তত্ত্ব, ডিএনএ কোড ইত্যাদির কথা পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত আছে।

জীন যখন বন্ধু

আসাদ ঘুমাচ্ছে                                      
গভীর ঘুম                                           
পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে কখন ঘুমাতে গেছে নিজেও জানে না বাতি নিভিয়েছিল কী না, দরজা-জানালা ঠিকমত বন্ধ করেছিল কী না ইত্যাদি কিছুই বলতে পারবে না                         
আসাদ ক্লাস এইটে পড়ে বয়স তেরো কিন্তু রুমে সে একাই থাকে ছোটবেলা থেকেই ভীষণ দুঃসাহসী ভয়-ডর ছাড়াই যেন তাকে তৈরি করা হয়েছে। দাদা বলেন, আসাদ আসলে আসাদ-ই (সিংহ)

       
সেই গভীর ঘুমটা আচানক ভেঙ্গে গেল। মনে হচ্ছে গায়ের ওপর ভারী কিছু বসে আছে। বড় বড় মোলায়েম পশমের পরশ অনুভূত হচ্ছে। সিদ্ধান্ত নিল যে, চোখ কচলে ভাল করে দেখতে হবে। কিন্তু, একি! চোখ যে খোলা যাচ্ছেনা, হাত-ও নাড়তে পারছেনা। চোখ, হাত-পা সব কিছু যেন চেপে ধরে রাখা হয়েছে। নাকের ওপর ভারী শ্বাস পড়ছে। ভাল্লুক জাতীয় কোন জন্তু বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু ভাল্লুকের তো এতক্ষনে তাকে মেরে কেটে খেয়ে-দেয়ে সাবাড় করে ফেলার কথা। তা-ও করছে না। তবে কি ?             
জীন-ভুত?