(১)
গোটা বিশ্ব জাহানের একমাত্র লা-শরীক মহান প্রভু আল্লাহ্ পাকের তরফ থেকে তাঁর শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি মানুষের প্রতি প্রদত্ত শ্রেষ্ঠতম দান নিঃসন্দেহে ‘আল-কুরআনুল কারীম’। মহান ও অতুলনীয় এই গ্রন্থের সংস্পর্শে যারা না এসেছে তারা অন্তহীন দুর্ভাগ্যের অধিকারী। মহাপবিত্র এই গ্রন্থের অগণিত বৈশিষ্টের মধ্যে একটি এই যে, “ ইহা সব ধরণের জ্ঞানের আঁধার।”
কিন্তু এই জ্ঞান আহরণ করা কি এতই সহজ ?
বর্তমান যুগকে বলা হয় বিজ্ঞানের চরম
উৎকর্ষতার যুগ। তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক, উভয় ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের নিত্য নতুন
আবিষ্কারের প্লাবনে জগত ভেসে যাচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমানে পবিত্র কুরআন শরীফের চর্চাও লক্ষণীয় হারে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে আধুনিক
শিক্ষিতদের মধ্যে এই বিষয়টি খুব বেশী পরিমাণে দৃষ্টিগোচর হয়। কিন্তু ইহাদের অনেকের মধ্যে একটি অদ্ভুত
প্রবণতা বেশ ভালভাবেই চোখে পড়ে। তারা এ কথা প্রমাণ
করার জন্য বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠে যে, বিজ্ঞানের
বিভিন্ন আবিষ্কার সমূহ যথাঃ বিদ্যুৎ, চুম্বক, আলো, মহাকর্ষ তত্ত্ব, আপেক্ষিক তত্ত্ব, বিগ-ব্যাংগ তত্ত্ব, ডিএনএ কোড ইত্যাদির কথা পবিত্র কুরআন
শরীফে বর্ণিত আছে।