-->

এ প্লাস (A+)


মাহতাব মাস্টারের মন খারাপ, ভীষণ খারাপ।

নাহ, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তার কোন আপনজন মারা যায়নি, ঘরে কোন ধরনের চুরি-ডাকাতিও হয়নি। এমন কী মাসখানেক পরে তিনি যে অবসরে যাচ্ছেন, সেটা নিয়েও তার তেমন কোন মনকষ্ট নেই। মাহতাব মাস্টার একজন আদর্শবান শিক্ষক, ন্যায়ের প্রশ্নে চির কঠোর। এই ব্যাপারে গোটা জেলায় তার সুনাম আছে। অবশ্য তার কারণও আছে। একবার ছাত্রদের দুগ্রুপের মধ্যে মারামারি লাগলে স্থানীয় সাংসদপুত্র পিস্তল নিয়ে হাজির হয়। সবাই যখন ভয়ে ঠক্‌ ঠক্‌ করে কাঁপছিল, মাহতাব মাস্টার তখন বুক চিতিয়ে পিস্তলধারীর সামনে গিয়ে দাঁড়ান এবং কঠিন বকুনি দিয়ে তাকে ফেরত পাঠান। প্রায় নিশ্চিত এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে গিয়েও হয়নি।
 

সেই দৃঢ়চেতা মাহতাব মাস্টার ‘উত্তরপত্রে নম্বর প্রদান’ সংক্রান্ত বোর্ডের নির্দেশনামা নিয়ে এখন অকুল পাথারে হাবুডুবু খাচ্ছেন। অথচ পরীক্ষার খাতায় নম্বর দেবার বেলাতে তিনি আজীবন উদারহস্ত। যখন কোন খাতায় নম্বর খুব কম উঠতে থাকে, তিনি তখন প্রাণপণ চেষ্টা করেন এ প্রশ্নে সে প্রশ্নে এক-আধ নম্বর করে বাড়িয়ে দিয়ে ছাত্রটিকে পাস করিয়ে দিতে।
সহকর্মীদেরকেও তিনি এ বুদ্ধি বাতান। এই জন্য মাহতাব মাস্টারের হাতে ফেলের সংখ্যা খুব নগণ্য হয়। যে ছাত্র ওনার হাতে ফেল করে, তার ব্যাপারে কেবল তিনিই নন, তার সহকর্মীরাও নিশ্চিত যে ঐ ছাত্র দুনিয়ায় আর কারো হাতে পাস করবে না। অতএব, মাহতাব মাস্টারের হাতে যখন কেউ ফেল করে, তখন তিনি বিবেকের দংশনে ভোগেন না। এহেন উদার কিন্তু কঠোর নীতিবান মাহতাব মাস্টারের নিকট বোর্ড থেকে যখন নির্দেশনামা আসে, “খাতায় এমনভাবে নাম্বার দিতে হবে যেন কেহ ফেল না করে” তখন তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়াটাই তো স্বাভাবিক। কারণ সুদীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে তার এ অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে, কিছু ছাত্র যেমনএ প্লাস’ পাবার বেলায় নিশ্চিত থাকে ঠিক তেমনি কিছু ছাত্র ফেলের ব্যাপারেও শতভাগ নিশ্চিত থাকে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক এখন ওদেরকেও পাস করাতে হবে। আর ঐ নিশ্চিত ‘ফেল’ ছাত্রটি যখন নিজেকে পাস করা ছাত্রদের কাতারে দেখবে, তখন সে এটাই বুঝবে যে লেখাপড়ার আদৌ কোন প্রয়োজন নেই। তার এই ধারণা সংক্রামক ব্যাধির ন্যায় আর দশজনের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে। সুতরাং লেখাপড়ার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু কী আর করা যাবে! কর্তার ইচ্ছায় কর্ম!! তিনি তো মাত্র ক’টাকার স্কুল মাস্টার!!!


মাহতাব মাস্টার স্তূপকৃত খাতাগুলোর দিকে তাকালেন এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে, আবার তাকালেন টেবিলের ওপরের কলম দুটোর দিকে। সারাজীবন খাতা দেখতেন লাল কলম দিয়ে, এবারে বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে দুটো কলম নিয়ে বসেছেন। একটি লাল ও একটি কাল। নির্দেশনায় বলা হয়েছে “কোন ছাত্রের খাতায় পাস নম্বর না উঠলে পরীক্ষকের নিজের পক্ষ থেকে কিছু লিখে দিয়েও যেন পাস করিয়ে দেয়া হয়।” সত্যিই, অদ্ভুত এক উটের পিঠে চলছে স্বদেশ!
* * * * *

খাতাগুলো দেখা প্রায় শেষ। সৌভাগ্য যে এখনো কোন খাতায় নিজের পক্ষ থেকে কিছু লিখতে হয়নি। স্বভাবসিদ্ধ উদারতার পরিবর্তে অতিরিক্ত উদারতার সাথে খাতা দেখায় সবাইকে পাস করিয়ে দেয়া গেছে। অল্প কয়েকটা খাতা বাকি আছে। আজই শেষ করে ফেলবেন। সারাজীবন খাতা দেখার কাজটি ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে এক মহাবিপদ। কারণ কিছু সংখ্যক উত্তরপত্র তাকে রীতিমত অসুস্থ করে তুলেছে। যেমন ‘কবিগুরুর ‘১৪০০ সাল’ কবিতার মর্মবাণী লিখ’ শীর্ষক প্রশ্নের উত্তরে অধিকাংশ উত্তরপত্রে লেখা হয়েছে, ‘কবিতাটির নাম দ্রুত পালটানো দরকার। ওটা অর্থহীন। কারণ ১৪০০ সাল অনেক আগেই গত হয়েছে।’

আরো একটি খাতা ওলটালেন। লেখার পরিমাণ খুব কম। পাস মার্ক ওঠাতে রীতিমত গলদঘর্ম হচ্ছেন। কিন্তু একস্থানে এসে ভিরমি খাওয়ার দশা হল।
প্রশ্নঃ লালসালু কি?
উত্তরঃ লাল আর সালু দুই ভাই।
মাহতাব মাস্টার বোর্ডের মুণ্ডুপাত করতে করতে খাতাটি দূরে ঠেলে দিলেন।

পরবর্তী খাতা। ঝকঝকে ফকফকে হাতের লেখা, তবে খুব বেশি নয়। ২৫ নাম্বার ওঠাতে গিয়েও ঘাম ছুটেছে। তাও উঠিয়ে দিলেন ৩৫। তবেসিরাজুদ্দৌলার কৃতিত্ব আলোচনা কর’ এই প্রশ্নের উত্তরে পেলেন এক অনুপম সৃজনশীলতার নিদর্শনঃ “সিরাজদ্দৌলা ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন সুলতান। বিপুল বিক্রমে যুদ্ধ করেও বিশ্বাসঘাতকদের চক্রান্তে পলাশীর প্রান্তরে পরাজিত হয়ে পালিয়ে যান। পরে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। অতপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে জীবন দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেন এবং সে জন্য ‘শ্রেষ্ঠবীর’ খেতাব অর্জন করেন।” অন্য আর একটি প্রশ্নকাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে তিনটি বাক্যের একটি সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন লিখ।’ উত্তরে লেখা ছিল “তিনি বিদ্রোহী কবি। আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ছাত্রদের ধুমসে পেটান।”

আর দুটো খাতা বাকি। প্রথমটি খুললেন। একটি মাত্র উত্তর দেয়া আছে। বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ। এই পর্যন্ত দেখা ২৯৮ টি খাতায় একজনও এই প্রশ্নটির উত্তর দেয়নি। খুবই ঔৎসুক্য সহকারে তিনি প্রশ্নে প্রদত্ত বাংলা এবং উত্তরপত্রের ইংরেজিটুকু পড়লেন।

আমার একটি ঘোড়া আছে। উহার রঙ বাদামী। উহা খুব দ্রুত দৌড়াতে পারে। আব্বা আমাকে উহা উপহার দিয়েছিলেন। আমি উহাকে ভীষণ ভালবাসি।
My one horse has. That’s colour nutty. That very fast run can. Father me that gifted. I that very love.

মাহতাব মাস্টার আবার পড়লেন, আবার এবং আবার। অতঃপর রহস্যটা ধরতে পারলেন। ইদানিং স্লোগান চালু হয়েছে, ইংরেজি গ্রামারের দরকার নেই। গ্রামার পড়া মানে সময় নষ্ট করা। এই ছাত্রটি নিশ্চয় ঐ আন্দোলনের ফসল! ব্যাকরণের কঠোর অনুসারী মাস্টার সাহেব এবারে আর রাগ সামলাতে পারলেন না। শূন্য দিতে গিয়েও কেন যেন ইতস্তত করতে লাগলেন। অতঃপর ‘৩’ নম্বর দিয়ে খাতা বন্ধ করলেন। একে পাস করানোর প্রশ্নই ওঠে না। চাকরি যাক আর থাক।

এবার সর্বশেষ খাতাটি ধরলেন। এ দেখি আরও ফাঁকা! শুধু এক স্থানে লেখা আছে, এ সকল প্রশ্নসমূহের উত্তর যিনি প্রশ্নটি তৈরি করেছেন তিনি জানেন। বেয়াদব ছোকড়া! মাহতাব মাস্টারের মেজাজ সপ্তমে চড়ল। ছাত্রটি সামনে নেই। থাকলে থাপ্পড় মেরে বসতেন। একবার ভাবলেন উত্তরপত্রে বেহুদা বিষয় লেখার জন্য রিপোর্ট করবেন কী না। পর মুহূর্তে চিন্তা করলেন যে এই বৎসরের পর আর কোনদিন খাতা কাটবেন না। সে হিসাবে এটি তার জীবনের সর্বশেষ খাতা। থাক, দরকার নেই ঝামেলা করার। ঐ ব্যাটা নিজেও জানে সে কী লিখেছে এবং কত পাবে। অতএব, শূন্য নম্বর দিয়ে মাহতাব মাস্টার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের শেষ খাতাটি বন্ধ করলেন। একটু আবেগ তাড়িত হয়ে ঝিম মেরে রইলেন কিছুক্ষণ। মনে পড়ল, জীবনে সর্বপ্রথম যে খাতাটি দেখেছিলেন সেখানে ষাট নম্বর উঠেছিল। অনেক আনন্দ পেয়েছিলেন। খাতায় বেশি বেশি নম্বর উঠলে তিনি সারাজীবন আনন্দ পেতেন। তাদের অনেকের রোল নম্বর টুকে রাখতেন। পরে পত্রিকায় ফল বের হলে খুঁজে খুঁজে দেখতেন কে কেমন করেছে (তখন পত্রিকায় বোর্ডের সম্পূর্ণ ফল পাওয়া যেত)। তার দেখা সেই প্রথম খাতাটির মালিক বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান পায়, দুই নম্বরের জন্য প্রথম হতে পারেনি। মাহতাব মাস্টারের যেমন আনন্দ হয়েছিল তেমনি খারাপও লেগেছিল। আর দুটো নম্বর যদি দিতেন! ভেবেছিলেন শেষ খাতাটির রোল নম্বরও টুকে রাখবেন। কিন্তু তার আর দরকার হবে না। বরং এটার কথা ভুলে গেলেই তিনি শান্তি পাবেন।

মাহতাব মাস্টার খাতা গোছাতে লাগলেন। ৩০০ টি খাতার মধ্যে মাত্র ২ জন ফেল; বাকি ২৯৮ জনই পাস! অথচ তিনি নিশ্চিত যে, যথানিয়মে উদারতার সাথে খাতা দেখলেও হয়তো আরও ৮০-৯০ জন ফেল করত। পাসের হার বাড়ছে, এতে তার কষ্ট লাগে না। দুঃখ হল পরীক্ষা মানে এখন যোগ্যতার মূল্যায়ন নয়, এটা হয়ে গেছে অযোগ্যদের পাস করানোর একটি প্রজেক্ট।
* * * * *

দু’দিন পরের কথা।

প্রধান পরীক্ষকের ব্যক্তিগত কক্ষ। মাহতাব মাস্টার খাতা ইত্যাদি বুঝিয়ে দিচ্ছেন। রেজাল্ট শিট দেখে প্রধান পরীক্ষক ভ্রু কুঁচকে বললেন, দুইজন ফেল! বিরাট ব্যাপার। আমাকে জবাবদিহি করতে হবে, সে সাথে আপনাকেও। ঐ ২-জনকেও পাস করানোর ব্যবস্থা করুন।
:
স্যার! মাফ করবেন। ঐ ২ জনকে কোনভাবেই পাস করানো সম্ভব নয়।
:
পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই, মাহতাব মাস্টার। আবার চেষ্টা করুন।
:
স্যার, ঐ দুটো খাতা আলাদা করে রেখেছি। আপনি একটু দেখুন।

অন্য কেউ হলে প্রধান পরীক্ষক বিরক্ত হতেন । কিন্তু মাহতাব মাস্টার স্বনামধন্য মানুষ, তদুপরি বয়সেও বড়। তাই হাত বাড়িয়ে বললেন, দিন। দেখি।

মাহতাব মাস্টার প্রথমে এগিয়ে দিলেন ‘৩’ নম্বর পাওয়া খাতাটি। প্রধান পরীক্ষক খাতাটি উল্টেপাল্টে দেখলেন। তারপর তাকালেন মাহতাব মাস্টারের দিকে।

:
বলুন স্যার, একে কিভাবে পাস করাই! ওর জন্য আমি ক’পৃষ্ঠা লিখব?
:
ঠিক কথা। এই বৃদ্ধ বয়সে এত পরিশ্রম সম্ভব নয়। অতএব, সোজা পথ বেছে নিন।
:
সেটা কি ?
:
আপনি ‘৩’ এর পাশে আর একটি ‘৩’ বসিয়ে দিন। তাহলে৩৩’ অর্থাৎ পাস মার্ক উঠে যাবে।

মাহতাব মাস্টারের মুখটা ‘হা’ হয়ে গেল। ঠিক শুনেছেন কী না! নিজের কানকে বিশ্বাস হচ্ছে না। শেষমেশ বলেই ফেললেন, স্যার, আপনি সুস্থ আছেন তো?
:
অবশ্যই এবং আপনার চেয়েও বেশি। করুন, যা বলছি। প্রধান পরীক্ষক বেশ ঝাঁঝের সাথে বললেন।

অবনত মস্তকে, যেন অনেকটা ঘোরের মধ্যে থেকে মাহতাব মাস্টার ‘৩’ কে ‘৩৩’ বানিয়ে দিলেন। মনের দুঃখে দু’ফোঁটা পানি চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল।

:
কথাটা কড়া হয়ে গেছে, মাস্টার সাব, আমি দুঃখিত। মনে কিছু রাখবেন না।

প্রধান পরীক্ষকের কোমল কণ্ঠস্বরে মাহতাব মাস্টারের ঘোর কেটে যায়। মনে মনে দৃঢ় এক সংকল্প নিয়ে শেষ খাতাটি বাড়িয়ে দিলেন প্রধান পরীক্ষকের দিকে। তিনি এক নজর দেখেই আগের মত বললেন, দিন একেও পাস করিয়ে। শুধু শুধু একজনকে আটকে রেখে লাভ কী!

:
এর বেলাতে ‘৩’ বসালে ‘৩০’ হবে, পাস করছে না।
:
তাহলে এক কাজ করুন। ‘০’ এর বাঁয়ে ‘৪’ বসিয়ে ‘৪০’ করে দিন।
:
মাফ করুন। আমি পারব না। করলে আপনাকে নিজ হাতেই করতে হবে।

প্রধান পরীক্ষক চমকে উঠলেন মাহতাব মাস্টার মৃদু, শান্ত এবং অবিচল কণ্ঠস্বর শুনে। এক নজর তাকিয়ে বুঝলেন যে এই লোক এখন মরবে কিন্তু মচকাবে না। অতএব, নিজেই কলমটা হাতে নিলেন। ক্ষণিক ভেবে মাহতাব মাস্টারের দিকে তাকিয়ে কিছুটা দ্বিধান্বিত স্বরে বললেন, আপনাকে একটা গোপন কথা বলছি। এবারের প্রশ্ন কিন্তু আমিই করেছিলাম। আর আমি অবশ্যই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর জানি। সুতরাং ছাত্রটি না জেনেও যে কথা লিখেছে উহা শতভাগ সত্য। সেহেতু তাকে ভাল নম্বর দিতে হয়। কিন্তু ১০০ নম্বর তো আর অংক ছাড়া দেয়া যায় না, তাই তাকে কিছু কম দিলাম। এই বলে প্রধান পরীক্ষক ‘০’ এর বামে বসিয়ে দিলেন ‘৯’। তারপর মাহতাব মাস্টারের দিকে চেয়ে এক গাল হেসে বললেন, দেখুন আপনার জীবনের শেষ খাতা দেখা। আপনি নিজেও শান্তি পাবেন। সবাই পাস করেছে এবং সর্বশেষ খাতাটিতে ‘এ প্লাস’ উঠেছে। দারুণ ব্যাপার! তাই না?

মাহতাব মাস্টার কিছুই বললেন না। তার দৃষ্টি বার বার উঠানামা করছে, প্রদত্ত ‘এ প্লাস’ নম্বরটি এবং প্রধান পরীক্ষকের হাস্যোজ্জ্বল চেহারা, এই দুইয়ের মাঝে। তিনি মনে মনে ভাবতে শুরু করলেন, ধরণী! তুমি কেন দ্বিধা হও না? কেন আমাদিগকে তোমাতে প্রবিষ্ট করাও না?

=======================================================


বাস্তবতার সাথে গল্পের মিল! ২০১৪ সালের একটি গণমাধ্যমে খবরের একটি ভিডিও দেখুনঃ

পরীক্ষায় পাশের হার বাড়ানোর জন্য কূটকৌশল!
পরীক্ষায় পাশের হার আর GPA বাড়ানোর কূটকৌশল!এখন আর পাশ করা বা ভাল নাম্বার পাওয়ার জন্য ভাল ছাত্র/ছাত্রী হতে হবে না!এমনিতেই কিছু লিখলেই অনেক নাম্বার এসে যাবে।
Posted by I am Bangladeshi on Tuesday, May 12, 2015


গণহারে জিপিএ ৫ (A+) পাওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাছরাঙা টিভির আলোচিত প্রতিবেদনটি দেখতে পারেনঃ




লেখক: শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক।

মোহাম্মদ সালেক পারভেজ
সহকারী অধ্যাপক ও কলামিস্ট
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটি, ঢাকা ১২০৭  
ই-মেইল : sparvez@daffodilvarsity.edu.bd

প্রথম প্রকাশঃ ১৫ জুন ২০১৫ breakingnews.com.bd ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
লিঙ্কঃ 

                   এ প্লাস (A+)



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন