-->

ধর্মনিরপেক্ষতা এবং আগামী প্রজন্ম

‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়’ ---- বড়ই আপাতঃমধুর একটি স্লোগান যা শোনেনি এমন বাংলাভাষী বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু বক্তার পরিচয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে কথাটা আদৌ সত্য কী না এ বিষয়ে খুব কম লোকই মাথা ঘামান। ‘বক্তার পরিচয়’ শব্দ দুটো এজন্য চয়ন করলাম কারণ ঐ স্লোগানটি যারা সবচে বেশী আওড়ে থাকেন, তারা সমাজের ‘হাই-ফাই’ শ্রেণী । তাদের অনেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এম.পি., কেউ কেউ লেখক, কেউ বিজ্ঞানী, কেউবা ভার্সিটির শিক্ষক ইত্যাদি। আর হুজুগে বাঙালীর চরিত্র হল নেতা গোচের লোকেরা কিছু বললে ঐ কথাকে চোখ-কান বুজে গ্রহণ করা। সাধে কি আর সোনার বাংলার এই দুরবস্থা ! তাই দেখা যাচ্ছে যে, কাঙ্খিত কিংবা অনাকাঙ্খিত যাই হোক না কেন ‘ধর্মনিরপেক্ষতা (secularism)’ নামক মতবাদটি ক্রমশঃ বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু এই বিস্তার কি গোলাপের সুবাসের বিস্তার না কি প্রাণঘাতী AIDS ভাইরাসের বিস্তার, এইটি হল দুশ্চিন্তার বিষয়। আসুন আমরা খোলা মন আর চোখ দিয়ে মতবাদটিকে জানতে চেষ্টা করি।


‘ধর্মনিরপেক্ষতা’-কে ইংরেজিতে secularism বলে। কিন্তু একটি সহজ সত্য হচ্ছে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’-কে ইংরেজিতে secularism শব্দে অনুবাদ করা হয় নি, বরং ইংরেজি secularism কে বাংলাতে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দ দ্বারা অনুবাদ করা হয়েছে । যে বা যারা তৈরি করেছেন তারা secularism নামক মতবাদটি তৈরি করেছেন । আর যারা এটাকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন তারা বুঝে অথবা না বুঝে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটি তৈরি করেছেন।