প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ধর্ষণ, শিশুধর্ষণ, গণধর্ষণ দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। আইন হচ্ছে, সাজা হচ্ছে। কিন্তু অবস্থা যথা পূর্বং তথা পরং । বরঞ্চ পরিস্থিতি মন্দের চেয়ে মন্দতর হচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে যে শুধুমাত্র ২০১২ সালেই বাংলাদেশে ৭৭১ জন নারী ( শিশু এবং বড় ) ধর্ষিতা হয়েছে , তন্মধ্যে গণধর্ষণের শিকার ১৫৭ জন আর ধর্ষণের পর খুন হয়েছে ১০৬ জন ( সূত্রঃ দৈনিক কালের কণ্ঠ, ১২-০১-২০১৩ )। এমন অবস্থা কী চলতেই থাকবে!
এত্থেকে কি নিস্তার নেই? খুবই যুক্তিসংগত একটি প্রশ্ন । তবে প্রশ্নটির জবাব খুঁজে পাওয়ার আগে আর একটি আত্নজিজ্ঞাসার উত্তর জানাটা অধিকতর জরুরীঃ আসলেই কি আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই ? আমরা কি প্রস্তুত আছি এমন একটি সমাজ তৈরির জন্য যেখানে থাকবে না ধর্ষণ কিংবা কোন ধরণের যৌন উক্তক্তকরণ
(eve teasing) ? আমাদের এই প্রস্তুতি কি যথার্থ ? না কি উহা কেবল স্লোগানসর্বস্ব ? প্রশ্নটি এই কারণে আসছে যে, ইদানীং নারী নির্যাতন বন্ধে নানা ধরণের সমাবেশ, সেমিনার, সিম্পজিয়াম ও মানববন্ধন হচ্ছে এবং আরও হয়তো হতে থাকবে। আমি এগুলোকে নিরুৎসাহিত করছি না । আমি ভাবছি এগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে। একটি স্বতঃসিদ্ধ কথা আছে : কোন সমস্যা সমাধান করতে হলে তার গভীরে যেতে হয়, টান দিয়ে উপড়ে ফেলতে হয় সমস্যার জড় সহ । অথচ সেই প্রচেষ্টা কোথাও দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না । বরং এর উল্টোটাই অনেক জায়গায় চোখে পড়ে, বিশেষ করে ঐ সকল স্থানে যেখানে N.G.O. দের ব্যানারে ঐ সমস্ত সভা-সম্মেলন হয়ে থাকে।
বিস্তারিত
আলোচনায় যাবার প্রাক্কালে আমি ক্রমাগত ধর্ষণ
বৃদ্ধি পাওয়ার কারণসমূহকে দুটো ভাগে ভাগ করছিঃ
Primary ( অর্থাৎ মূল বা প্রধান) কারণ ও
Secondary (অর্থাৎ শাখা বা দ্বিতীয় পর্যায়ের)