-->

সাধারণ কিছু গাণিতিক ভুল-২

এখানে সংখ্যা মালা (number system) নিয়ে একটু আলোচনা। তবে শুরুতে কিছু ইংরেজি প্রতিশব্দ জেনে নাও।



বাস্তব সংখ্যা (Real Number): গণিতে অপারদর্শী ছাত্রছাত্রীদের নিকট বাস্তব সংখ্যার ধারণাটা বেশ জটিল। এখানে দু’ভাবে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে। (১) যদি তোমার গণিত-জ্ঞান কেবল ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত হয়ে থাকে, তবে তোমার পরিচিত  (ধনাত্মক, ঋণাত্মক, শূন্য, গোটা কিংবা ভগ্নাংশ)  ইত্যাদি সকল সংখ্যাই বাস্তব সংখ্যা।  (২) যদি জটিল  সংখ্যা সম্বন্ধে তোমার ধারণা থাকে (অর্থাৎ তুমি একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী হয়ে থাক), তবে এটুকু মনে রাখলেই চলবে যে i – মুক্ত সংখ্যাকে বাস্তব সংখ্যা বলে।    

সাধারণ কিছু গাণিতিক ভুল-১

[ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই ১ম ক্লাসেই যে সকল ছাত্র-ছাত্রীকে পাই, তারা ইতিপূর্বে ১২ টি বৎসর ধরে স্কুলে এবং কলেজে গণিত পড়ে এসেছে। তারপরেও ওদের মধ্যে এমন কিছু গলৎ ধারণা থাকে,  যে গুলোকে শোধরাতে আমাকে বেশ বেগ পেতে হয়। এমন কিছু জরুরী বিষয় নিয়েই বক্ষ্যমাণ নিবন্ধটি।]      

ক্ষুদ্র-র গাণিতিক ধারণা: দৈনন্দিন জীবনে কিন্তু গণিতের ছাত্র মাত্রই জানে যে -1<0 এবং  -4<-3<-2<-1  . এখন যদি তাকে প্রশ্ন করা হয় সবচে ক্ষুদ্র সংখ্যাটি কি ? সে উত্তর করবে বলা সম্ভব নয়, কারণ যেই ক্ষুদ্র সংখ্যাটি উল্লেখ করবে, অন্য এক জন ঐটির চেয়েও ক্ষুদ্রতর একটি সংখ্যা উল্লেখ করতে সমর্থ হবে।   




অসীম: গণিতশাস্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারণা হল অসীম। প্রকৃতপক্ষে গণিত অধ্যায়ন ব্যতীত অসীমের সঠিক উপলব্ধি বেশ দুরূহ ব্যাপার। প্রথমেই বুঝা উচিৎ যে ‘অসীম’ বলতে কেবল একটি মান/পরিমাণকে বুঝায়, একাধিককে নয়। কিন্তু সেই মানটি এত বেশী বড় যে, কোন গাণিতিক সূত্রের  সাহায্যে উহাকে নির্ণয় করা যায় না। যেমন   tan 0o = 0, tan 30o = √3,  tan 45o = 1,  tan 150o = -√3  হয়  অর্থাৎ যে কোন কোণের  tangent নিলে একটিমাত্র মান পাওয়া যায়।

গণিত অলিম্পিয়াডের টক-মিষ্টি-ঝাল

( ৮ম ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড ২০১৬ (তাং ২৫/১১/২০১৬) উপলক্ষে DIU কর্তৃক প্রকাশিত Souvenir এর লেখা) 

পৃথিবীতে অনেক ধরণের প্রতিযোগিতা আছে আর প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়া মানেই এক অনাবিল আনন্দ তবে একটি কঠিন অংক সমাধান করার যে মানসিক আনন্দ, তার সাথে তুলনা করার মত পৃথিবীতে আদৌ কিছু কী আছে! হয়তো থাকতে পারে, তবে তার সংখ্যা যে নেহায়েত নগণ্য তাতে কোন সন্দেহ নেই এককালে এই নির্মল আনন্দে অবগাহন করত কেবল ভুবন বিখ্যাত গণিতবিদগণ, অনেকটা একান্তে, সমাজ থেকে আলাদা হয়ে কিন্তু এতে বিবর্তন ঘটিয়েছে গণিত অলিম্পিয়াড এসে  মনের আনন্দ পরিমাপের যদি কোন যন্ত্র আবিষ্কার হত, তবে মাপলে দেখা যেত যে বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল কিম্বা গোল্ডেন বুট জয়ীর মনে যে আনন্দ তার চেয়ে ঢের বেশী আনন্দ একজন গণিত অলিম্পিয়াড বিজয়ীর মনে                                                                                                                

শিক্ষাবিদ ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবালের নিকট বাংলাদেশের  সকল গণিতপ্রেমীরা চির ঋণী কারণ তার হাত ধরেই এদেশের গণিতবিদরা গণিতের বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ হতে শুরু করে তবে ডঃ জাফরের যাবতীয় কার্যক্রম কেবল IMO তথা  প্রাক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সীমিত। অতএব, দরকার ছিল আর একজন পথিকৃতের যিনি Tertiary তথা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াডকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেবেন। A F M Mujibur Rahman Foundation হচ্ছে সে-ই নকীব যার ডাকে আজ