-->

বিভ্রান্ত তারুণ্য এবং অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব

গত ১লা জুলাই, ২০১৬তে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁতে এমন  একটি ঘটনা ঘটে যা যেমন লোমহর্ষক, তেমন নিন্দনীয় উক্ত ঘটনা এবং সমসাময়িক আরও কিছু ঘটনা-দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক ধরণের সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্য হতে একটি বিশেষ চিত্র সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা গেছে উহা হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান যুব সমাজ ক্রমান্বয়ে বিপথগামী হয়ে যাচ্ছে । এখন স্থানে স্থানে সেমিনার-সিম্পজিয়ামের ঢল নেমেছে সর্বত্রই একই আলোচনা তরুণ প্রজন্মকে কিভাবে সঠিক পথে রাখা যায় ? তরুণরা কাকে অনুসরণ করবে ?



আদর্শের সন্ধানে 

উপরোক্ত জিজ্ঞাসার জবাবে নানা মুনীর নানা মত পাওয়া যাচ্ছে  অনুসরণীয় হিসাবে কেহ ম্যান্দেলা , কেহ ওবামা, কেহ বিল গেটস, কেহ স্টিভ জবস, কেহ বা মহাত্মা গান্ধীর কথা বলছেন কেহ উপদেশ দিচ্ছেন বেশী বেশী করে খেলাধুলাতে মগ্ন হতে আবার কেহ কেহ পরামর্শ দেন রবীন্দ্রচর্চা করতে আমি কোন ধরণের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছাড়াই বলছি যে এহেন ব্যক্তিবর্গকে অনুসরণ করা অপেক্ষা শেরেবাংলা-সোহরাওয়ারদি-বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করা শতগুণে উত্তম
কিন্তু এই তিনজনও যার অনুসারী হিসাবে পরিচয় দিতে গৌরবান্বিত হতেন, সেই মহান ব্যক্তিত্বের অনুসরণ নিয়েই আমার এই নিবন্ধটি  আর  সেই মহান ব্যক্তিটি হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহা সত্যি পরম আশ্চর্যের বিষয়, কোন বাঙালী যুবক যখন  বলে যে, সে এমন কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না যাকে অনুসরণ করে একটি আদর্শ জীবন গঠন করা যায়। কারণ বাংলা ভাষায় বিশ্বনবী সম্পর্কে জানার জন্য বইপত্রের কোন অভাব নেই

আজ শুধুই কাঁদব

[ বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নিয়ে অজস্র লেখা আছে কিন্তু এর ৯৯.৯৯% ভাগই হচ্ছে জ্ঞানী-গুণী-বিদগ্ধ জনদের অনুভূতি কিন্তু বঙ্গবন্ধু তো ছিল ছোটবড় সকলের অবুঝ শিশু-কিশোর পর্যন্ত ছিল বঙ্গবন্ধুর নামে দেওয়ানা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে তারাও প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিল এই লেখায় তেমনি এক কিশোরের ঠিক ঐদিনের মানসিক অবস্থাটা বর্ণনা করা হয়েছে লেখাটি জাতীয় শোক দিবসে অর্থাৎ ১৫ই আগস্টে ছাপা হলে বেশী মানানসই হত। কিন্তু পেশাগত ব্যস্ততা আর শারীরিক অসুস্থতার জন্য দেরি হয়ে গেল
                         
আগস্ট ১৫, ১৯৭৫ ইংরেজি   
আযানের সাথে সাথেই ঘুম ভাঙে খালেদের দ্রুত শয্যা ছেড়ে নামাজ-কালাম পড়ে, গা-গোসল সেরে রীতিমত ফিটফাট হয়ে বসে আছে খালেদ উত্তেজনায় একটু একটু কাঁপছেও বটে দীর্ঘ দিনের লালিত মধুর স্বপ্নটি আজ বাস্তবায়িত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে         

ভাল করে নাস্তা খেয়ে নে, খালেদ। সারাদিন অনেক দৌড়াদৌড়িতে ব্যস্ত থাকতে হবে। আম্মু বললেন নাস্তা বেড়ে দিয়ে। তারপরে খালেদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন, তোকে বেশ মানিয়েছে । এক্কেবারে মিনি বঙ্গবন্ধু !

একটু লজ্জা পেল খালেদ। চেহারাটা আর একটু গম্ভীর করে ফেলল।
তারপরে মাথা নিচু করে নাস্তা খেতে থাকল। খাওয়ার ফাঁকে আর একবার আয়না দেখে নিল। আজ সে পরেছে তার প্রিয় ‘বঙ্গবন্ধু ড্রেস’। এ নামটা অবশ্য খালেদের দেয়া। গত ঈদে আব্বুর কাছে আব্দার করে বসে বঙ্গবন্ধু যেমন পরে, তেমন ডিজাইনের সাদা কাপড় দিয়ে পায়জামা-পাঞ্জাবি বানিয়ে দিতে আর একটি কালো কোট দিতে।