মুক্তার মনের আনন্দ আর বাঁধ মানছে না আজ। জীবনে দুটো দিন
বাদে এত আনন্দ আর কবে পেয়েছিল! হ্যাঁ, ঐ দুটো দিনের কথা অবশ্যই আলাদা। শুধু তার
একারই নয়, মুক্তা মনে করে, দুনিয়ার সব মেয়েদের ক্ষেত্রেই দুটো বিশেষ দিন আছে।
প্রথমটি হচ্ছে বিয়ের দিন। ঐ দিন সে
মানিকের বউ হয়ে এ ঘরে আসে। তখন অনুভব করেছিল যে, তার মেয়ে
জনম সার্থক। অকূলপাথারে সে আর একা নয়। তার জীবন নৌকার মাঝি আছে । দ্বিতীয়
শ্রেষ্ঠতম খুশীর দিনটি ছিল বাবুর মা হবার দিন। উপলব্ধি হল যে এতদিনে তার নারী জনম
পরিপূর্ণতা পেল।
: বৌ মা, জলদি যাও। পানির কাজ কম কর।বাবুর ঠাণ্ডা লেগে
যাবে।
: মা, এখনি আসছি। শাশুড়ি তহুরা বেগমের ডাকে মুক্তা সাড়া
দেয়।
তহুরা বেগম বিধবা, বয়স ষাটের কাছাকাছি। শখের হোমিও তাক্তার। তবে হাতযশটা বেশ ভাল। এলাকাতে সবাই এক নামে চেনে। এতক্ষণ বাবুকে কোলে নিয়ে আদর করছিলেন। এইমাত্র শুইয়ে দিয়ে নিজের রুমে ফিরে যাচ্ছেন। হার্টের রোগী। নিয়ম মেনে চলেন।
: আপা, আপনি যান
তো। এবারের তাগাদাটা এল ময়নার মার তরফ থেকে।