-->

এ প্লাস (A+)


মাহতাব মাস্টারের মন খারাপ, ভীষণ খারাপ।

নাহ, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তার কোন আপনজন মারা যায়নি, ঘরে কোন ধরনের চুরি-ডাকাতিও হয়নি। এমন কী মাসখানেক পরে তিনি যে অবসরে যাচ্ছেন, সেটা নিয়েও তার তেমন কোন মনকষ্ট নেই। মাহতাব মাস্টার একজন আদর্শবান শিক্ষক, ন্যায়ের প্রশ্নে চির কঠোর। এই ব্যাপারে গোটা জেলায় তার সুনাম আছে। অবশ্য তার কারণও আছে। একবার ছাত্রদের দুগ্রুপের মধ্যে মারামারি লাগলে স্থানীয় সাংসদপুত্র পিস্তল নিয়ে হাজির হয়। সবাই যখন ভয়ে ঠক্‌ ঠক্‌ করে কাঁপছিল, মাহতাব মাস্টার তখন বুক চিতিয়ে পিস্তলধারীর সামনে গিয়ে দাঁড়ান এবং কঠিন বকুনি দিয়ে তাকে ফেরত পাঠান। প্রায় নিশ্চিত এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে গিয়েও হয়নি।
 

সেই দৃঢ়চেতা মাহতাব মাস্টার ‘উত্তরপত্রে নম্বর প্রদান’ সংক্রান্ত বোর্ডের নির্দেশনামা নিয়ে এখন অকুল পাথারে হাবুডুবু খাচ্ছেন। অথচ পরীক্ষার খাতায় নম্বর দেবার বেলাতে তিনি আজীবন উদারহস্ত। যখন কোন খাতায় নম্বর খুব কম উঠতে থাকে, তিনি তখন প্রাণপণ চেষ্টা করেন এ প্রশ্নে সে প্রশ্নে এক-আধ নম্বর করে বাড়িয়ে দিয়ে ছাত্রটিকে পাস করিয়ে দিতে।

একটি ফতোয়া: প্রতিক্রিয়া এবং প্রত্যাশা



দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এমন একটি বিষয় নিয়ে লিখতে বসেছি যে বিষয়ে আমি একজন আনাড়ি। কিন্তু বিবেকের তাড়নায় না লিখেও পারছি না। অতি সম্প্রতি ইফাবার তরফ থেকে একটি ফতোয়া প্রকাশিত হয়েছে যার মুখ্য বিষয় ‘চেয়ারে বসে নামাজ পড়া’।



কথা অনস্বীকার্য যে গত এক দশকে চেয়ারে বসে নামাজ আদায়কারীর সংখ্যা লক্ষ্যণীয় হারে বেড়ে গেছে। এমন কী এদের ক্ষেত্রে ‘চেয়ারম্যান’ শব্দটি প্রচলিত পরিভাষার রূপ ধারণ করেছে। ঢাকা শহরে এমন মসজিদ খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে কাতারের কোণায় অনেকগুলো চেয়ার সাজিয়ে রাখা নেই। অথচ ১৫-২০ বৎসর আগে কোথাও এ দৃশ্য দেখা যেত না। সকল মুসলমান নিদেনপক্ষে এটুকু জানে যে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া ফরজ। সুতরাং বসে নামাজ পড়লে এই ফরজটি আদায় হচ্ছে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন আসে মাজুর হওয়ার শর্ত নিয়ে।

মিরাজ, মুযিযা ও বিজ্ঞান

( মিরাজ কে যারা অস্বীকার করে তাদের জন্য এ লেখা নয়। মিরাজকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, কিন্তু বিজ্ঞান মনস্ক হওয়ার কারণে যুক্তি খুঁজে বেড়ায়, এমন মানুষ অনেক আছে। এই অনুসন্ধানটুকু অনেক সময়ে আত্মপ্রশান্তির জন্য, অনেক সময়ে প্রতিপক্ষকে জবাব দেবার জন্য। কারণ যেটা-ই হোক না কেন,  তাদের কৌতূহল নিবারণের তরে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। )

সাইয়্যিদুল মুরসালীন হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ)এর পবিত্র জিন্দেগী জুড়ে রয়েছে অজস্র অলৌকিক ঘটনা যেগুলোকে শরীয়তের পরিভাষায় মুযিযা নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে
এই সকল ঘটনা সমুহ নির্ভরযোগ্য এবং বিশুদ্ধতম ‘সনদের (অর্থাৎ বর্ণনা সুত্রের )’ মাধ্যমে আমাদের নিকটে পৌঁছেছে ।  প্রিয় নবীর (সাঃ) মুযিযা সমূহের মধ্যে একটি বিশিষ্ট মুযিযা হল মিরাজরাসুল (সা.)-এর ৫২তম বছর বয়সে নবুওয়াতর ১২তম সনে হিজরতের ১ বা ২ বছর আগে রজব মাসের ২৬ তারিখ রোজ সোমবার দিবাগত রাতে  মিরাজুন্নবীর(সা.) আশ্চর্যতম ঘটনাটি সংঘটিত হয়  


মুসলমান মাত্রই মিরাজের বিবরন শুনে অভিভূক্ত হয়, আল্লাহ পাকের সীমাহীন কুদরতের সামনে নিজের অক্ষমতা উপলদ্ধি করত সিজদাবনত হয়, বিগলিত চিত্তে উচ্চারণ করে, '  সুবহানাল্লাহ ' কিন্তু যারা বিশ্বাস আর যুক্তির টানা হেঁচড়ার ফাঁদে পড়ে গেছে, তাদের হয়েছে সমস্যা।  বিগত কয়েক বছর যাবৎ একটি বিষয় বেশ ভালভাবেই চোখে পড়ছে যে,

রক্তে ’৭১ঃ মুক্তিযুদ্ধের গল্প


খালেদের মনটা ভীষণ খারাপ। দেশে চলছে টানা অবরোধ আর হরতাল। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি-অফিস-আদালত- কল-কারখানা সবখানেই এক ধরণের অচলাবস্থা। সরকার কিম্বা বিরোধীরা কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না।মাঝখান দিয়ে নাভিশ্বাস ওঠছে আম-জনতার, বারো-তের পার হয়ে চৌদ্দটা বাজতে চলছে দেশের। মার্চ মাস, মানে স্বাধীনতার মাস এসেছে। কিন্তু কারো মধ্যে তেমন কোন উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে না। রাস্তাঘাটে সকলের মধ্যে কেমন যেন এক অজানা আতঙ্ক ভাব চোখে পড়ে, ঠিক যেমনটি ছিল ১৯৭১ সালে। ৭১-এর কথা মনে পড়তেই খালেদ খুঁজে বের করল তার প্রিয় ডায়েরীটি।


খালেদের মনে পড়ল আনা ফ্রাংকের ডায়েরীর কথা। ওটা আজ বিশ্ব বিখ্যাত। আসলে ইহুদীরা জানে কার ঢোল কোথায়, কখন এবং কিভাবে পেটাতে হয়। অপকর্মে তারা বিশ্বসেরা । অথচ ওদের প্রতি বিন্দুমাত্র অবিচার হলে সেটা এমনভাবে ফলাও করে যে গোটা দুনিয়ায় ওদের প্রতি দরদ উথলে ওঠে। এজন্যই কি মসী অসির চেয়ে শক্তিশালী ?



                                                                                                                 
বিধ্বস্ত মন আর বিক্ষিপ্ত ভাবনা নিয়ে খালেদ ডায়েরীর পাতা ওলটাতে থাকে।  আচ্ছা, ওর এই ডায়েরী কি কখনো ছাপার অক্ষরে আলোর মুখ দেখবে! আনমনে হেসে ফেলে খালেদ।আরে দূ---র! মাথাটাই গোলমাল হয়ে গেছে। নচেৎ এসব বিদঘুটে ভাবনা আসছে কেন ? ও কী তেমন কেউ না কী যে ওর ডায়েরী কেহ ছাপাতে যাবে ? তাছাড়া বর্তমান প্রজন্মের কাছে একাত্তর কী আদৌ মূল্যবান কিছু ?  

তবে একলা চলো রে


ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ব্যক্তিগত রুমে নির্দিষ্ট চেয়ারে শরীরটা ছেড়ে দিয়ে বসে আছি। তসলীম আরেফীন, ভার্সিটির দেয়াল পত্রিকার সম্পাদক, ক’দিন ধরেই তাড়া দিচ্ছে একটা লেখা দেবার জন্যে। দেখেছে যে, আমার এক-আধটু লেখালেখির অভ্যাস আছে। তাকে খুশি করার জন্য ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছি। কিন্তু ‘লিখবটা’  কী?  না আমি পেশাদার লেখক, না আমার আছে নজরুলের মতো প্রতিভা যে কলম ধরলেই হড় হড় করে লেখার ফোয়ারা ছুটবে! ভাবছি আর ভাবছি। ভাবতে ভাবতে ভীষণ ক্লান্ত বোধ করছি। কখন যে চোখ দুটো বুজে এল টের পেলাম না।



: আসসালামু আলাইকুম।
বয়স্ক গলায় সালামের শব্দে চমকে উঠলাম। বেশ বয়স্ক দু’জন ভদ্রলোক প্রায় একসাথে রুমে ঢুকলেন। পরনে পায়জামা-পাঞ্জাবী। বয়সে আমাদের সাবেক উপাচার্য মহোদয়ের সমবয়সী হবেন। সম্মান প্রদর্শনের জন্য দাঁড়িয়ে দুটো চেয়ার এগিয়ে দিলাম।

বালাগাল উলা বি কামালিহী...



মহান আল্লাহ্‌ পাকের শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি মানুষ। আর মানুষের মধ্যে আল্লাহ্‌ সর্বোত্তম করেছেন নবী আলাইহিস সালাম গনকে। নবী হওয়াটা এতই উচ্চ পর্যায়ের ব্যাপার যে পৃথিবীতে সাধনার দ্বারা কেহ কোন কালে নবী হয়নি এবং হবেও না। এটা একান্তই আল্লাহ্‌ পাকের দান। সুতরাং কোন মানুষের সম্পর্ক নবীর সাথে এবং অ-নবীর সাথে সমান হতে পারে না। 

                                                   
একজন মানুষের ওপরে একজন নবী বিশেষতঃ সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লমের কি কি হক বা অধিকার রয়েছে,